ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী এর রাত্রি কদরের রাত্রি অপেক্ষা উৎকৃষ্ট

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

হযরত শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দেছ দেহলবী (রঃ) 'মা ছাবাতা বিচ্ছুন্নাহ' কিভাবে লিখেন-যেটির বাংলা সারমর্ম নিম্নরূপ

ঈদ--মিলাদুন্নবী এর রাত্রি কদরের রাত্রি হতে নিঃসন্দেহে উৎকৃষ্ট। কেননা  ঈদ--মিলাদুন্নবী এর রাত্রি স্বয়ং মাহবুবে খোদা (সাঃ) এর আগমনের রাত্রি।


আর শবে কদর তো তাঁকেই প্রদান করা হয়েছে। এবং -কথা পরিষ্কার, যে রাত্রি হুজুর পাক (সাঃ) এর জাত মোবারক দ্বারা মর্যাদামণ্ডিত হয়েছে সেটি রাত্রি হতে অবশ্যই উৎকৃষ্ট বিবেচিত হবে, যেটি 

রাসুল (সাঃকে প্রদান করার কারণে মর্যাদামণ্ডিত হয়েছে। উপরন্ত লাইলাতুল কদর ফেরেশতাগণের অবতির্নের কারণে ফজিলতমন্ডিত হয়েছে, আর লাইলাতুল মীলাদ স্বয়ং হুজুর পাক (সাঃ) এর মহান আগমন দ্বারা মহিমান্বিত হয়েছে। 

তাছাড়াও লাইলাতুল কদরের মধ্যে হুজুর আকরম (সাঃ)এর উম্মতের জন্য অনুগ্রহ এবং ইহছান রয়েছে। কিন্তু লাইতুল মীলাদ বা মিলাদুন্নবী রাত্রিতে গোটা সৃষ্টির উপরই আল্লাহ তাআলা পরম ইহছান এবং অনুগ্রহ করেছেন।

কেননা হুজুর আকরম (সাঃ) রাহমাতুললিস্ আলামিন যাঁর উছিলায় আছমান জমিনের সকল মাখলুকই আল্লাহ তাআলার নেয়ামতসমূহ সাধারণভাবে প্রাপ্ত হয়েছে। (মা ছাবাতা বিচ্ছুন্নাহ, পৃ:৭৮

 

 ইমাম কুস্তালানী  (রঃ) তাঁর মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া, ১ম খন্ড, ২৬,২৭ পৃষ্ঠায় শবে কদরের রাত্রি থেকে মিলাদুন্নবী (দঃ) এর মহান রাত্রি উৎকৃষ্ট হওয়ার উপর উল্লেখিত দলিল গুলি কায়েম করেছেন এবং -বিষয়টিকে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন।

 

 এরপর -আলোচনাটিও খুবই জরুরী যে, হুজুর আকরম (দঃ) এর পবিত্র প্রকাশ এবং বিলাদত (জন্ম) শরীফ মুমিনগণের জন্য মহা আনন্দের। খাঁটি মুমিন এবং আশেকগণ মাহফিলে মীলাদ, বিভিন্ন রকমের উত্তম কাজ, খয়রাত এবং ছদকার মাধ্যমে তাঁদের এই প্রেম এবং আনন্দের প্রকাশ সব সময় করে আসছে। 

যারা কাজগুলিকে বেদআত এবং নাজায়েজ বলছেন তাদেরকে পরিপূর্ণ দলিল দেয়ার জন্য কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ এবং মুহাদ্দিছ আলেমগণের মন্তব্যাদি বিস্তারিতভাবে পেশ করা হচ্ছে। আল্লাহই তাওফিক দানকারী।

তথ্যসূত্র:মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

Next Post Previous Post