ইমাম হুসাইন আঃ এরঁ কারামত খন্ড-১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কাঁধ মোবারকে আরোহনকারী, হযরত আলী رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর কলিজার টুকরা, মা ফাতেমার رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا নয়ন মণি, সুলতানে কারবালা, সায়্যিদুশ শোহাদা, ইমামে আলী মকাম, ইমামে আরশে মকাম, ইমামে হুমাম, ইমামে তৃষ্ণায়ে কাম, হযরত সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর আপাদমস্তক কারামতে ভরপুর ছিল।
এমনকি তাঁর শুভ জন্মগ্রহণও কারামতে ভরপুর ছিল। হযরত সায়্যিদি আরিফ বিল্লাহ্ নূর উদ্দীন আবদুর রহমান জামী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ “শাওয়াহেদুন নুবুওয়াত” কিতাবে বলেছেন: “হযরত সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ ৪ঠা শাবানুল মুআজ্জাম ৪র্থ হিজরী রোজ মঙ্গলবার মদীনায়ে মুনাওয়ারাতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণিত আছে, ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ মাত্র ছয় মাস পর্যন্ত তাঁর মায়ের গর্ভে ছিলেন।
হযরত সায়্যিদুনা ইয়াহিয়া عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام ও ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ ব্যতীত গর্ভের ছয় মাসের কোন বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার পর জীবিত থাকার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। (শাওয়াহেদুন নবুওয়াত, পৃষ্ঠা ২২৮, মাকতাবাতুল হাকীকত, তুর্কী)
মারহাবা সারওয়ারে আলম কে পেসর আয়ে হেঁ,
সায়্যিদা ফাতেমা কে লখতে জিগর আয়ে হেঁ।
ওয়াহ্ কিস্মত কে ছেরাগে হারামাঈন আয়ে হেঁ,
এ্যয় মুসলমানো! মোবারক কে হুসাইন আয়ে হেঁ।
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
------------------------------------
হযরত আল্লামা জামী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ আরো বলেন: “হযরত ইমামে আলী মকাম সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর শান এমন ছিল যে, যখন তিনি অন্ধকার রাতে কোথাও যেতেন, তখন তাঁর পবিত্র ললাট ও উভয় পবিত্র গন্ডদেশ থেকে নূরের ঝলক বের হতো। যার ফলে তাঁর চতুর্দিকে আলোকিত হয়ে যেতো।” (প্রাগুক্ত, ২২৮ পৃষ্ঠা)
তেরি নছলে পাক মে হে বাচ্চা বাচ্চা নূর কা,
তো হে আইনে নূর তেরা ছব গরানা নূর কা
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
একদা সায়্যিদুনা ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ মদীনা মুনাওয়ারা থেকে মক্কা মুকাররামাতে যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে হযরত সায়্যিদুনা ইবনে মুতী رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। ইবনে মুতী رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ তাঁকে আরয করলেন: “হুযুর! আমার কূপটার পানি একেবারে কমে গেছে, দয়া করে আমার কূপের পানি বৃদ্ধির জন্য একটু দোয়া করুন। ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কূপটার পানি নিয়ে আসার জন্য বললেন। যখন পাত্রে করে পানি নিয়ে আসা হলো, তখন তিনি মুখ লাগিয়ে তা থেকে কিছু পানি পান করলেন এবং কুলি করলেন আর পাত্রের অবশিষ্ট পানি কূপে ঢেলে দিলেন। তখন কূপের পানি যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেল এবং আগের চেয়েও সুমিষ্ট এবং সুস্বাদু হয়ে গেল। (আত্ তাবকাতুল কুবরা, ৫ম খন্ড, ১১০ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্, বৈরুত)
বাগে জান্নাত কে হে বাহরে মাদ্হা খানে আহলে বাইত
তুম কো মুজ্দা নার কা এ্যয় দুশমনানে আহলে বাইত
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
গ্রন্থসূত্রঃফয়যানে মাদিনা থেকে সংগৃহীত