ইমাম হুসাইন (আ.) মুসিবত ও ক্রন্দনকারী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ইমাম জাফর বিন মুহাম্মদ (আ.) [সাদিক] এর জীবনীতে রেওয়ায়েত করা হয়েছে যে, যখন মহররম মাসের চাঁদের উদয় হত তখন তিনি অত্যাধিক দুঃখ ভারাক্রান্ত হতেন এবং ইমাম হুসাইন (আ.) এর উপর আপতিত মুসিবতের উপর তাঁর ক্রন্দন বৃদ্ধি পেত। আর জনগণ যে দিক হতে ও যে স্থান হতে তাঁর নিকট আসতো তারা ইমাম হুসাইন (আ.) এর (শাহাদতের) মুসিবতে তাঁকে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করতো এবং তাঁর সাথে তাঁর (ইমাম হুসাইন (আ.) এর) শোকে নওহা (শোকগাথা) পাঠ করতেন ও আযাদারী করতেন।

© Azader Media
যখন তাদের আযাদারী ও ক্রন্দন সমাপ্ত হত তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলতেনঃ হে লোকসকল ! জেনে রাখো যে, ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর প্রতিপালকের নিকট জীবিত রয়েছেন। আর তিনি যেভাবে চান সেভাবেই তাকে রুজি প্রদান করা হয়। তিনি সর্বদা তাঁর সৈন্যদলের স্থানে এবং তাঁর শাহাদতের স্থানের প্রতি দৃষ্টি দেন ও ঐ সকল শহীদদের শাহাদতের স্থানে যারা সেথায় শহীদ হয়েছিল। আর তিনি তার যায়ের (যেয়ারতকারী), তাঁর প্রতি ক্রন্দনকারী এবং যারা তার জন্য আযাদারী’র আয়োজন করে তাদেরকে দেখেন। তিনি তাদের তাদের নাম সম্পর্কে, তাদের পিতাদের নাম সম্পর্কে এবং বেহেশতে তাদের স্থান ও মর্যাদা সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী। যে ব্যক্তিই তার জন্য ক্রন্দন করে তিনি তাকে দেখেন, অতঃপর তার জন্য এবং নিজের নানা, বাবা, মা এবং ভাইয়ের নিকট তাঁর মুসিবতে ক্রন্দনকারী ও তাঁর আযাদারীর আয়োজনকারীদের মাগফেরতার জন্য দোয়ার আহবান জানান।


গ্রন্থসূত্রঃ আল মুন্তাখাব ফিল মাকতাল, পৃষ্ঠা ৩৯-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণিত হয়েছে আসরারুশ শাহাদাত, ১ম খণ্ডের ৯৮ নং পৃষ্ঠায়।

Next Post Previous Post